পুলিশের কবজি বিচ্ছিন্ন করা সন্ত্রাসী কবির আহমদ দা নিয়ে র্যাবের ওপরও হামলা চালিয়েছিলেন। কিন্তু পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ায় রক্ষা পান র্যাব সদস্যরা। গাছ কাটার অভিজ্ঞতা থেকেই কবির জানতেন, কোথায় আঘাত করলে বিপক্ষ দলের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হবে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সহযোগীসহ র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর এসব তথ্য নিজেই প্রকাশ করেছেন কবির।
বিজ্ঞাপন
গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এ সময় র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফও উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে লোহাগাড়ার গহিন পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটকের পর কবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করে র্যাব।
গত ১৫ মে সকালে পুলিশ কনস্টেবল জনি হকের হাত বিচ্ছিন্ন করেই বান্দরবান পালিয়ে গিয়েছিলেন কবির। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাহাড়ি পথ দিয়ে বান্দরবান থেকে লোহাগাড়ায় ফিরে আসার তথ্য জানতে পারে র্যাব। তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ টিম অভিযান চালায় লোহাগাড়ার বড় হাতিয়া গহিন পাহাড়ে। টানা চার ঘণ্টা অভিযানের পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কবির (৩৫) এবং তাঁর সহযোগী কফিল উদ্দিনকে (৩০) আটক করে র্যাব। কফিলকে কবিরের আশ্রয়দাতা হিসেবেই চিহ্নিত করেছে র্যাব।
কবির লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখীল গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। কফিলের বাড়িও একই এলাকায়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ঘটনার পরই কবির পালিয়ে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দক্ষিণ হাঙ্গরে অবস্থান নেন। পাঁচ দিন ধরে পাহাড়েই সহযোগী কফিলকে নিয়ে ছিলেন কবির। মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কবিরের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা আছে। কফিলও প্রতিবেশী দেশ থেকে ইয়াবা এনে বিক্রি করেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনে ছয়টি মামলা আছে। দুজন একই চক্রের সদস্য। ’