সংকটময় পরিস্থিতিতে আটকে পড়া অভিবাসীসহ সব অভিবাসীর অভিবাসন যাত্রার সময় জীবন বাঁচাতে এবং ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা ফোরামের (আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্কে ভাষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম এ কথা বলেন। কোনো পরিস্থিতিতে যাতে অভিবাসীদের জোর করে ফেরত পাঠানো না হয়, সে বিষয়ে ট্রানজিট এবং গন্তব্যের দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

সাধারণ বিতর্ক পর্বটির সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জলবায়ুজনিত অভিবাসনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন বা খরার কারণে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশাকে অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন—এই উভয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে হবে।

তিনি সমুদ্রে দুর্দশায় থাকা অভিবাসীদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা পূরণ করার ওপর জোর দেন। সাধারণ বিতর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী আমাদের সমুদ্র উপকূল থেকে মিয়ানমার কর্তৃক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেছে। ’

প্রতিমন্ত্রী মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ডোমিনিকার পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রী ভিন্স হেন্ডারসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার মিসেস ইলভা জোহানসনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।