বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেছেন, ‘নারীবান্ধব নানা আইন তৈরি হলেও নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল হচ্ছে না। এখনো প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী সহিংসতার শিকার। ’
গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যের আলোকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি এবং সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে উন্নয়নে নারীর অবদান থাকলেও অংশীদারি ও স্বীকৃতি নেই।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে নারীর অগ্রগতিকে টেকসই করা, সহিংসতা রোধ করে নারী ও কন্যার মানবাধিকারকে সুরক্ষা দিতে প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুসারে কর্মকৌশল গ্রহণ এবং সমন্বিতভাবে তা বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম বলেন, দীর্ঘ সময়ের আন্দোলনের ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সমাজে কেমন প্রভাব তৈরি হয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দীর্ঘ চার দশকের আন্দোলনের ফলে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে পাঁচটি বিভাগের (চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল) ২২টি জেলা শাখার নেতারা অংশ নেন। মহিলা পরিষদের সহসভাপতি রেখা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লিগ্যাল এইড উপপরিষদ সম্পাদক রেখা সাহা। সঞ্চালনা করেন আইনজীবী ফাতেমা খাতুন।