ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সাভার ট্রাফিক বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম।
সোমবার রাতের এ ঘটনায় বাসযাত্রী ও স্থানীয়দের পিটুনিতে সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী নাজমুল মিয়ার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত নাজমুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর থানার দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। সাভারে রাজফুলবাড়িয়া সাকিপাড়ায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাস করছিলেন তিনি। নাজমুলের বড় ভাই পোশাক কারখানার শ্রমিক মঞ্জু মিয়া মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি কিছু বুঝতে পারছি না। নাজমুল সাভারে রিকশাভ্যানে করে খেলনা বিক্রি করত। ৮-৯ বছর এখানে বসবাস করত। আমার পাশের ঘরে নামজুল তার স্ত্রীসহ থাকত। তিন দিন আগে তার স্ত্রী বাড়ি চলে যায়। ’ সোমবার রাতে নাজমুল বাসে কোথায় গিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নে মঞ্জু বলেন, ‘আমি জানি না কোথায় ছিল। ’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক শ্যামল বলেন, ‘(নাজমুল) কাফনের কাপড় পরিহিত ছিলেন কেন, আমাদেরও অবাক করেছে বিষয়টি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, খুব অ্যাগ্রেসিভ চিন্তাভাবনা থেকে এমন ঘটনা। তিনি গার্মেন্টকর্মী ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে ফেরি করে খেলনা বিক্রি করতেন।