রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে এক বছরেরও বেশি সময় পর গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী) পরিচয় যাচাইয়ে নবগঠিত অ্যাডহক টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক ছিল গতকাল। বৈঠকে পক্ষগুলো রোহিঙ্গাদের আদি নিবাসের ঠিকানা যাচাইয়ে দেরি হওয়া নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিলম্বের কারণগুলো সমাধানে কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ্ রেজওয়ান হায়াত।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের গত বছরের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দুই দেশের প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিক বৈঠক করলেন। অভ্যুত্থানের পর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা স্থবির।
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে। ওই মামলায় আইসিজের অন্তর্বর্তী আদেশ অনুযায়ী মিয়ানমারকে আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল কারিগরি পর্যায়ের আলোচনায় রোহিঙ্গাদের আদি নিবাসের ঠিকানা যাচাইয়ে দেরি হওয়ার কারণগুলো সমাধানে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।