সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে লিবিয়ায় যাওয়া ২৪ জনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বজনরা। পাশাপাশি আদমপাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে স্বজনরা জানান, লিবিয়ায় পাড়ি জমানো ওই ২৪ জনের সঙ্গে চার মাস ধরে কোনো যোগাযোগ নেই। ৮-৯ মাস আগে তাঁরা কয়েক দফায় লিবিয়ায় পাড়ি জমান।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিরাজ উদ্দিন নামের একজন বলেন, তাঁর ছেলে রাজু আহমদ এখনো জীবিত বলে তাঁর আশা। তবে তিনি কোনো আদমপাচারকারী চক্রের কাছে জিম্মি। সন্তানের সন্ধানের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আতিকুর রহমান নামের একজন বলেন, আদমপাচারকারী চক্রের মাধ্যমে তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ইউরোপের উদ্দেশে পাঠিয়েছেন। কয়েক মাস ধরে ছেলের সন্ধান পাচ্ছেন না। অথচ চক্রটি ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে জনপ্রতি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা করে নিয়েছে।
আতিকুর রহমান জানান, এই আদমপাচারকারী চক্রের প্রধান ফরহাদ আহমদ। এ ছাড়া জাবেদ আহমদ, সায়রা বেগম, হাদিয়া বেগম চক্রের সক্রিয় সদস্য। বর্তমানে তাঁরা আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের মুঠোফোন নম্বরগুলোও বন্ধ।
জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার থানার (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ২৪ জনের কারো পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিবিয়ায় যাওয়া ওই ২৪ জনের নাম জানানো হয়। তাঁরা তানহারুল ইসলাম (২৩), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০), হোসেন আহমদ (৩৫), রাজু আহমদ (২৬), কামরুজ্জামান রাহাত (২২), এনামুল হক (১৯), আব্দুল আজিজ (৩২), আব্দুল্লাহ আল জুনেদ (২৬), আরিফ আহমদ দুলাল (২৪), আব্দুল করিম (২৫), তোফায়েল আহমদ অজিত (২৪), আব্দুল্লাহ আল ইমন (২২), মোহাম্মদ আলী (২৭), কয়ছর আহমদ (২৬), জাকারিয়া আহমদ (২১), জুনেদ আহমদ (২৩), হোসাইন আহমদ (১৯), আব্দুল হক (২২), সাহেল আহমদ (২৪), জাকির হোসেন (২৪), আব্দুল হাছিব (২৬), বকুল আহমদ (২৩), আবুল কাশেম আজহার (২৫), আব্দুর রহিম চৌধুরী (২৩)। সম্প্রতি আমিনুর রহমান (২৪) নামের একজন লিবিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তাঁর লাশ এখনো দেশে ফেরত আসেনি।