আমরা যেসব খাবার খাই তা খাদ্যনালির ভেতর দিয়ে পাকস্থলীতে যায়। এখানে বিশেষ ভূমিকা রাখে হাইড্রোক্লোরিক এসিড। এই এসিডের তারতম্যের কারণেই কিছু সমস্যা হয়। পাকস্থলী থেকে এই হাইড্রোক্লোরিক এসিড বুকের দিকে চলে আসে বলে মনে হয়।
বিজ্ঞাপন
খাবার পর বিলম্বে পানি পান করুন
খাবার খেয়ে আধাঘণ্টা পর পানি পান করলে সাধারণত হাইড্রোক্লোরিক এসিড বুকের ওপরের দিকে ওঠে না। এ জন্য একটু দেরি করে পানি পান করুন।
খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান
হজমের প্রক্রিয়া শুরু হয় মুখের ভেতর থেকেই। সুতরাং সঠিক হজমের জন্য খাদ্য সঠিকভাবে চিবানো গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে খাদ্য চিবানো না হলে মুখের মধ্যে উেসচকের কাজ কমে যেতে পারে। ফলে অম্লতার সমস্যা হতে পারে। এ জন্য যেকোনো খাবার চিবিয়ে খান।
উঁচু বালিশ ব্যবহার করুন
যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তারা ঘুমানোর সময় মাথার দিকটা একটু উঁচু করে শোবেন। একটু উঁচু বালিশে শুইলে বেশ ভালো ফল পাবেন, যন্ত্রণাও কম হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
এসিডিটির জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন। পানি পান করলে পেটের গ্যাস বের হয়ে অস্বস্তিভাব দূর হয়। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় পানি পান করলে এসিডিটির আশঙ্কাও কমে যাবে। এ জন্য প্রতিদিন অন্তত আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন।
যা করবেন, যা করবেন না
* খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পড়বেন না। কমপক্ষে এক ঘণ্টা পর বিছানায় শুইলে এসিডিটির সমস্যা রোধ হয়।
* বেশিক্ষণ অভুক্ত থাকবেন না। কেননা পাকস্থলীকে দীর্ঘক্ষণ খালি রাখলে গ্যাসের উদ্রেক হয়। এ জন্য মাঝেমধ্যেই খাবার খেতে হবে।
* চা, কফি, সিগারেট একই সঙ্গে খাবেন না।
* বেশি ওজন থাকলে নিয়ন্ত্রণে আনুন। পেটের আয়তন বেড়ে গেলে কমান।
* অতিরিক্ত মসলাদার বা তৈলাক্ত খাবার, কোমল পানীয়, সিগারেট, অ্যালকোহল, কফি বা চা পান করবেন না।
* গ্যাস্ট্রিকের বেশি সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।