রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে কিভাবে নির্বাচন হবে, তা ঠিক করুন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের বিল পাসের জন্য সংসদে আইনমন্ত্রীর প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হারুনুর রশিদ বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের নামে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করছে।
বিজ্ঞাপন
সার্চ কমিটি গঠনে সুফল পাওয়া যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে অতীতে কারা মনোনীত হয়েছেন, তা কারো অজানা নেই। সরকারের অনুগত হওয়াটাই এখানে যোগ্যতা।
হারুন বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানকে সার্চ কমিটির দায়িত্ব দিয়ে তাঁদের বিতর্কিত করা হবে। কারণ তাঁদের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আনুগত্য করা তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। আগামী নির্বাচন সরকার কোন কৌশলে করবে, জনগণ তা জানতে চায়।
আইন থাকলেও সরকারের সদিচ্ছা জরুরি : রুমিন ফারহানা
বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, কাগজে-কলমে ভালো আইন থাকলেও সব সময় জনগণের স্বার্থরক্ষা হয় না। এখানে সরকারের সদিচ্ছা জরুরি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হলে ওই ধরনের নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার আগ্রহ রাজনৈতিক দলগুলোর থাকার কথা নয়।
রুমিন ফারহানা বলেন, সার্চ কমিটিতে সরকারি দল, সংসদে প্রধান বিরোধী দল, তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে প্রতিনিধিত্ব থাকলে স্বচ্ছতা থাকত। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এ প্রক্রিয়া থেকে একেবারে বাদ দিয়ে এখন শুধু সরকারের ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।