গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গতকাল এক জরুরি বৈঠকে বসে। তবে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এ প্রসঙ্গে বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সব বিতরণ কম্পানির পূর্ণাঙ্গ আবেদন এখনো জমা পড়েনি। মোট সাত কম্পানির মধ্যে এখনো দু-একটি কম্পানি আবেদন জমা দেয়নি।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বিতরণ কম্পানিগুলো শুরুতে দেওয়া প্রস্তাব কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী না হওয়ায় ফিরিয়ে দিয়েছিল বিইআরসি। পরে কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আবার বিতরণ কম্পানিগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব জমা দেয়।
চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা বিতরণ কম্পানির আবেদন পেলেও এখনো দু-একটি কম্পানির পূর্ণাঙ্গ আবেদন দেওয়ার বাকি আছে। মোট সাতটি কম্পানির পূর্ণাঙ্গ আবেদন পাওয়ার পর কমিশনে আলোচনা হবে। আলোচনায় যদি কমিশন একমত হয় তাহলে আমরা একটা টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে দেব। টেকনিক্যাল কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেবে। পরে এই প্রতিবেদনের ওপরেই গণশুনানি হবে। তারপর কমিশন সব তথ্যের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে যাবে। ’
কমিশনের বৈঠকটি কবে নাগাদ হতে পারে, জানতে চাইলে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব কম্পানির আবেদন পূর্ণাঙ্গভাবে এলেই আমরা প্রস্তাবগুলো নিয়ে বৈঠকে বসব। ’
এদিকে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, ‘সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হবে। যার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে। ’