স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আবারও সেই আগের কথাই বললেন। সংসদে জানালেন, ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের’ মাধ্যমে টিকা কেনার কারণে অর্থ খরচের হিসাব জাতীয় সংসদে প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। গতকাল বুধবার সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর একই প্রশ্নের উত্তরে একই তথ্য দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
লিখিত প্রশ্নে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, করোনার কতগুলো টিকা কেনা হয়েছে এবং এতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে। দুই মাস পর তিনি আবারও সংসদে বললেন, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স থেকে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা কেনা হয়েছে। নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে টিকা কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। খরচের হিসাব না দিলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা এসেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় দুই কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন থেকে সাত কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও সাত কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডোজ টিকা এসেছে।