কারণ
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে (শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ) ইনফেকশনের কারণে ফিস্টুলা হয়ে থাকে। শরীরের অন্য জায়গায় বা ফুসফুসে যেমন টিবি হয়, তেমনি মলদ্বারেও কিন্তু টিবি হতে পারে বা ক্রন’স ডিজিজ হতে পারে। কখনো ক্যান্সারের জন্যও ফিস্টুলা হতে পারে। কারো হঠাৎ ফোড়া হয়ে ফেটে গেলে বা অপারেশন করে ফোড়া থেকে পুঁজ বের করা হলেও কিন্তু ফিস্টুলা হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
রকমফের
ফিস্টুলা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কতগুলো ফিস্টুলা সাধারণ, যার ছিদ্র মলদ্বারের খুব কাছাকাছি থাকে। কতগুলো ফিস্টুলা জটিল। সিম্পল বা সহজ ফিস্টুলা অপারেশনে ভালো হয়।
অপারেশনই আসল চিকিৎসা
অনেকের ধারণা, অপারেশন করালে ফিস্টুলা বারবার হয়, এটি অপারেশনে সারে না। এ জন্য তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে যে অপারেশন করাবে, না ওষুধ খাবে। তাদের জন্য তথ্য হলো, ফিস্টুলা অপারেশনে সফলতার হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি।
মলদ্বারের অন্যান্য অসুখ যেমন : অ্যানালফিশিয়া, পাইলস ইত্যাদি ওষুধে বা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ভালো হয়, কিন্তু ফিস্টুলার ক্ষেত্রে অপারেশন লাগে। অপারেশন না করালে এটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফিস্টুলার জন্য আজকাল অনেক আধুনিক অপারেশন পদ্ধতি রয়েছে। লেজারের মাধ্যমেও অপারেশন করা যায়। সম্পূর্ণভাবে না কেটে, বড় কাটাছেঁড়া ছাড়াই লিফট টেকনিকের মাধ্যমেও অপারেশন করা যায়।
তাই ফিস্টুলাকে ভয় নয়, বরং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে আধুনিক চিকিৎসা নিন। ফিস্টুলা হলেই যে বারবার অপারেশন করাতে হবে, এমনটিও নয়। সঠিক চিকিৎসা নিলে এটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম
জেনারেল ও কোলোরেক্টাল সার্জন
সহযোগী অধ্যাপক, সার্জারি বিভাগ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ