রাইমা ইসলাম শিমু
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেলের সঙ্গে আরেকজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামির কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তার পরিচয় জানাননি তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গতকাল নোবেল ও তাঁর বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রিমান্ডে পুলিশের কাছে শ্বাসরোধে শিমুকে হত্যার পর ফরহাদের সহায়তায় লাশ ফেলার বর্ণনা দেন নোবেল। সেখানে আরেকজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মেলে। পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য। শিমু ও নোবেলের গ্রিন রোডের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে পুলিশ। এতে ঘটনার দিন রবিবার সকাল ১০টা ৩ মিনিট থেকে ১০টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত ১৪ মিনিটের ফুটেজ নেই।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই সময় বিদ্যুৎ ছিল না বলে জানায় বাড়ির লোকজন। তবে পুলিশ আশপাশের বাসা ও বিদ্যুৎ অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনেছে, ওই দিন এলাকায় বিদ্যুৎ যায়নি। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, পরিকল্পিতভাবেই ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। ওই সময় তৃতীয় ব্যক্তি চলে যায় এবং শিমুর মরদেহ বাসা থেকে বের করা হয়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তদন্তে কিছু বিষয় এসেছে। এগুলো বলা যাবে না। এগুলো নিয়ে কাজ চলছে। ’
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুন্নু মিয়া বলেন, ‘শিমুকে হত্যায় নোবেলের সঙ্গে তাঁর আরেক সহযোগী ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তার নাম বলতে পারছি না। বাসার ১৪ মিনিটের ভিডিওর ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ’
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল বলেন, রবিবার ভোরে তাঁদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এর পরই রাগের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ভোরে শিমুকে হত্যার পর বন্ধু ফরহাদকে ফোন করেন নোবেল। পরে দুজন মিলে মরদেহ সরিয়ে নেন।