দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার পায়রা সেতুর টোল সংগ্রহে অব্যবস্থাপনায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সেতুতে ব্রিজ হেলথ মনিটর সেন্সর ও ওয়েস্কেল প্রযুক্তি বসানো হলেও ওয়েস্কেল চালু না হওয়ায় সঠিকভাবে টোল আদায় হচ্ছে না।
মাত্রাতিরিক্ত ওজনের যানবাহনের সংকেত দিতে সেতুতে ওয়েস্কেল যুক্ত করা হয়। কিন্তু এখন সেতুতে ভারী যানবাহন উঠলেও সেই অনুযায়ী টোল আদায় সম্ভব হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৫ টন পর্যন্ত ওজনের গাড়ি সাধারণ টোলের আওতায় থাকবে। এর অতিরিক্ত ওজন হলে তা ওয়েস্কেলে পরিমাপ করে বাড়তি টোল আদায় করা হবে অথবা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যমান পদ্ধতিতে বাড়তি ওজনের টোল নেওয়া হচ্ছে না।
গত বছরের ডিসেম্বরে পটুয়াখালী জেলা শহরে অন্তত শতাধিক মাত্রাতিরিক্ত ওজনের গাড়ি ঢুকেছে। এসব গাড়িতে ২২ থেকে ২৩ টন লোহার রড ও ভারী পণ্য বহন করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা থেকে পটুয়াখালী শহরের একাধিক ব্যবসায়ী এসব পণ্য আমদানি করেছেন।
এ ছাড়া ঠিকাদারি কাজে ট্রাকে পরিবহন করা হচ্ছে কালো পাথর। পাঁচ শ সিএফটি কালো পাথরের আনুমানিক ওজন প্রায় ২৩ টন। গত তিন মাসে শতাধিক মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন পারাপার হয়েছে এই সেতু দিয়ে। এগুলো থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করা যেত।
জেলা সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, ‘শিগগিরই ওয়েস্কেল চালু করে মাত্রাতিরিক্ত ওজনের গাড়ি শনাক্ত করা হবে। ওয়েস্কেল ব্যবহার একটি নতুন পদ্ধতি, যা ব্যবহারে দক্ষ লোক প্রয়োজন। ’
বর্তমান পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, নীতিমালা মেনে এমএম বিল্ডার্সকে টোল আদায়ে নিয়োজিত করা হয়েছে। এক বছরের চুক্তিতে বর্তমান পদ্ধতিতে তারা কাজ করবে।
টোল ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত লুৎফর কবির বলেন, ‘কম্পিউটারাইজড এবং সেন্সর পদ্ধতিতে টোল আদায় হচ্ছে। সব কিছু টেকনোলজি নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু চালকরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল প্লাজা অতিক্রম করতে চান, যা নিয়ে আমরাও ঝামেলায় পড়ছি। তবে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। ’