হত্যাকাণ্ডের ছয় দিন পর অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সদস্য উত্তম সরকার হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি’ নামে একটি চরমপন্থী দলের সদস্যরা তাঁকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছে ডিবি। খুনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে হত্যা মিশনে ব্যবহৃত একটি ওয়ান শ্যুটার গান, তিন রাউন্ড গুলি, দুটি গুলির খোসা, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, একটি লোহার রড, একটি ককটেল, ১০ গ্রাম গানপাউডার, ৫০ গ্রাম তারকাঁটা, একটি শপিং ব্যাগ, পাঁচটি মোবাইল ফোনসহ একটি এয়ারগান।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—খুলনার ডুমুরিয়া থানার রুদাঘর উত্তরপাড়ার ইকরামুল গোলদার ওরফে জুয়েল, যশোরের অভয়নগর থানার সুন্দলী পূর্বপাড়ার প্রজিৎ বিশ্বাস ওরফে বুলেট, মণিরামপুর থানার সুজাতপুর গ্রামের পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদিপ্ত, সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের প্রশান্ত মণ্ডল ও খুলনার ডুমুরিয়া থানার দীঘলিয়া গ্রামের বিজন কুমার মণ্ডল ওরফে বিনোদ। গতকাল রবিবার চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গোয়েন্দা শাখা কার্যালয়ে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি রুপম কুমার সরকার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা নিজেদের কথিত ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি’র সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছেন। তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। অনেক সদস্য পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) উত্তম সরকার।