পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের বেশির ভাগই উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতা। এরই মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ১১ জন নেতাকে বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভোটার ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বনওয়ারীনগর ইউনিয়নে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় পিছিয়ে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী আজাহার আলী সরকার। স্থানীয়রা জানায়, ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকে নৌকা দেওয়ায় ভোটাররা তরুণ প্রার্থীর দিকে ছুটছেন।
ডেমরা ইউনিয়নেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন। এখানেও দলের নেতাকর্মীদের পক্ষে না পেয়ে নৌকার প্রার্থী মাফুজুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন। দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুল আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জুয়েল রানা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। এই ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াতের ভোটাররা জুয়েলকে সমর্থন দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের সর্মথকরা বিভিন্ন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন।
ফরিদপুর সদর ইউনিয়নে চারজন প্রার্থীর মধ্যে নৌকার প্রার্থী সরোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল জলিল ও রাজু আহমেদের ত্রিমুখী লড়াই হবে। এখানে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় ভোট তিন ভাগে বিভক্ত হবে।
বিএলবাড়ী ইউনিয়নে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল গফুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম। এখানেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীদের নিজের পক্ষে আনতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। এই ইউনিয়নে মোট সাতজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পুঙ্গলী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সাজেদুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রচারণা চালাচ্ছেন না। তবে অন্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন নৌকাকে হারাতে নৌকার বিপক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান সরকার বলেন, ‘প্রার্থী সিলেকশনের ওপর ইলেকশন নির্ভর করে। তবে সব নৌকার প্রার্থীর অবস্থা খারাপ নয়। ’