‘কি বিকট শব্দে আতশবাজি। আমার ছোট বাচ্চাটি এমনিতেই হার্টের রোগী। আতশবাজির প্রচণ্ড শব্দে বাচ্চাটি আমার ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে ওঠে। খুব ভয় পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
নববর্ষ উদযাপন
বাজির শব্দে কাঁপছিল শিশুটি, পরদিন মৃত্যু
- জন্মগতভাবে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র ছিল উমায়েরের। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছিল শিশুটিকে
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউসুফ রায়হান নামের এক বাবা ফেসবুকে এমনই পোস্ট দিয়েছিলেন খ্রিস্টীয় নববর্ষের আগমনী রাতে।
ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা ইউসুফ একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘তোর ছোট্ট হাতটা দিয়ে আমার আঙুলখানি কি আর ধরবি নারে বাবা?’
ছবিতে দেখা যায়, শিশুটির হাতে ক্যানুলা করা। ছোট্ট সেই হাতে বাবার আঙুল ধরে রেখেছে শিশুটি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই সমালোচনা করছে বেপরোয়াভাবে বর্ষবরণের। ৩১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীতে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় মুহুর্মুহু আতশবাজি ফুটিয়ে। যদিও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল। অনেক বাসায়ও রয়েছেন বয়স্ক নারী-পুরুষ, রোগী; যাঁদের অনেকের জন্যই শব্দদূষণ নিরাপদ নয়।
জানা গেছে, জন্মগতভাবে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র ছিল উমায়েরের। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছিল তাকে। গত ১ জানুয়ারি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি উমায়েরের।
এবারের ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উদযাপন নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হচ্ছে। বর্ষবরণের ফানুসে রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মাতুয়াইলে আস্ত ভবনই পুড়ে যায়।
ছেলের এভাবে মৃত্যু এবং ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে শোকার্ত বাবা ইউসুফ রায়হানের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠের কথা হয়। তিনি বাস করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। ঢাকায় ব্যবসা করেন। তবে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। ইউসুফ বলেন, ‘আমি আমার কষ্টের কথাগুলো পরিচিত লোকজনকে জানানোর জন্যই ফেসবুকে লিখেছিলাম।
থার্টিফার্স্ট নাইটে এ ধরনের উৎসব আগেও হয়েছে। কিন্তু এবার বেশিই হয়ে গেছে। বাজি-পটকার শব্দ আমাদের বাচ্চাটাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ওর হার্টের অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই চলে
যেতে হলো ওকে। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রেখে এসেছি।’
সম্পর্কিত খবর

বর্ষায়ও হাতিরঝিলের পানি দূষণ


জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ দেশব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ রবিবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘পিপল হু ফট ফর আস’ ও ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট : স্টোরি অব মুশতাক আহমদ’সহ জুলাইয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ঢাকায় মিরপুর-১০ ও বছিলায় শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এসব আয়োজন করা হবে। গতকাল শনিবার সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, আজ ২০ জুলাই ‘গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিউজিক ভিডিও শেয়ার করা হবে, যার থিম মিউজিক হবে ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’। কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন ‘একটি শহিদ পরিবারের সাক্ষ্য’ ডকুমেন্টারির পার্ট-৬ প্রচার এবং একজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণার ভিডিও শেয়ার করা হবে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে। সব মোবাইল গ্রাহকের কাছে ভিডিওর ইউআরএল পাঠানো হবে।

আদিলুর রহমান খান
ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে মানুষকে ঢাকাকেন্দ্রিক করে ফেলা হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলোর ভালো সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। ফলে মানুষ কাজের জন্য ঢাকা এলেও, কাজ সেরে ফিরে যেতে পারছে না।
গতকাল শনিবার বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ আয়োজিত ‘ঢাকায় নিম্নবিত্তের সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন’ শীর্ষক এক বিশেষ ডিজাইন-গবেষণা উপস্থাপনা ও আলোচনায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর প্লট ও ফ্ল্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বাতিল করেছে সরকার। স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে রাজউক থেকে লটারির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি হলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলাফল হাতে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আদিলুর রহমান খান।
উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যেন বাংলাদেশে কখনোই আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।

শিক্ষাঙ্গন
