রাজধানী ঢাকার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নির্মিত হবে ‘স্বপ্নের’ মেট্রো রেল। তিন বছর ধরে বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্প নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছিল। মেগাপ্রকল্পটি নিয়ে প্রাথমিক সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৪ হাজার কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল নির্মাণের নির্দেশনা দেন। সরকারপ্রধানের এ ঘোষণার খবর শোনার পর থেকে আনন্দে ভাসছে চট্টগ্রামবাসী। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে নগরের লালদীঘি মাঠে জনসভায় চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ (শেখ হাসিনা) কাঁধে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে গত ১৩ বছরে চট্টগ্রামে অনেক মেগাপ্রকল্প দিয়ে এর বাস্তবায়নও করে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রেল রুট নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলা হচ্ছে—চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এখানকার সড়কে যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। সাধারণ জনগণ কম খরচে মেট্রো রেলের সুবিধা ভোগ করবে।
এ ছাড়া গতকাল একনেকের সভায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন নামক একটি মেগাপ্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এ রকম মেগাপ্রকল্প আগে অন্য কোনো সরকারের আমলে গৃহীত হয়নি। এই প্রকল্প নিয়ে খুশি চট্টগ্রামবাসী।
গতকালের ওই সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চসিককে যে মেগাপ্রকল্প দেওয়া হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ম্যাচিং ফান্ড হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা করপোরেশনের দেয়ার কথা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চসিকের আর্থিক সংকটের বিষয়টি জানালে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ম্যাচিং ফান্ড বাদ দিয়ে পুরোটাই সরকারের অর্থায়নে হবে বলে ঘোষণা দেন। এটি চট্টগ্রামবাসীর জন্য বড় পাওয়া। ’