কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার পুরান ভাটেরা এলাকায় কাঁঠালিয়া নদীতে ট্রলার ডুবে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই কন্যাশিশু এবং একজন নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় এক শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলো ঢাকার ডেমরা থানার সুকশি এলাকার বাসিন্দা ফরিদ মিয়ার মেয়ে আয়েশা আক্তার (১১) ও মরিয়ম আক্তার (৮) এবং ওই শিশুদের নানি জেলার তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামের আবদুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫)। নিখোঁজ অন্য শিশু হলো ফরিদ মিয়ার আরেক মেয়ে তামান্না আক্তার (৬)।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে আমাদের ডুবুরিদল কাজ করছে। তবে এখনো তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। ’
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, দাউদকান্দি উপজেলার হাসনাবাদ থেকে একই পরিবারের ১৪ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি তিতাস উপজেলার মোহনপুরে যাচ্ছিল। সেখান থেকে তাঁদের রায়পুর গ্রামে ফেরার কথা ছিল। দুপুরে মেঘনা উপজেলার পুরান ভাটেরা এলাকায় কাঁঠালিয়া নদীতে কচুরিপানা ও মাছের ঘেরের মধ্যে আটকা পড়ে ট্রলারটি। এ সময় ট্রলারচালক ইঞ্জিনের গতি বাড়ালে নৌকার তলা ফুটো হয়ে পানি উঠে ট্রলারটি নদীতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে দাউদকান্দির এলহাম হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা মোট ১৩ জনকে উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় ১০ জন। শিশুটি পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে সম্ভবত। আমরা অনেক খুঁজেও তাকে পাইনি। ’
মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জানান, ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ঘটনায় ট্রলারচালকের কোনো অবহেলা ছিল কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।
মেঘনা থানার ওসি ছমিউদ্দিন জানান, ফরিদ মিয়া পরিবার নিয়ে ডেমরা থানার সুকশি এলাকায় বসবাস করেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তাঁর শাশুড়ি জুলেখা বেগমও ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দুর্ঘটনায় তাঁর দুই মেয়ে মারা গেলেন এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে।