করণীয়
* সব সময় আরামদায়ক ও গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন, বিশেষ করে যাঁদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজাতীয় সমস্যা প্রকট। উষ্ণ রাখতে রাতে পশমি টুপির সাহায্যে কান ঢেকে দিন, হাত ও পায়ে মোজা পরিয়ে রাখুন, দেহকে কম্বলে মুড়ে দিন।
* হাত ও পায়ের তালু, ঠোঁট ইত্যাদিতে পেট্রোলিয়াম জেলি, ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল মেখে দিন।
* বিছানা বা পরনের কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
বিজ্ঞাপন
* শোবার ঘরটি যেন উষ্ণ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাপমাত্রা বাড়াতে সাবধানে রুম হিটার ব্যবহার করুন।
* সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ পোহাতে দিন।
* ট্রমা ও বিষণ্নতায় ভোগা মানুষের দিকে বেশি সময় দিন। একসঙ্গে টেলিভিশন দেখা বা গল্প করার কাজটি করুন। তাঁরা যেন একা একা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* সব সময় গরম পানি পান করান ও ব্যবহার করতে দিন। মাঝেমধ্যে চা, কফি পান করতে দিন।
* বাসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখুন। বিশেষ করে অ্যাজমা ও ব্যথার রোগীরা সব সময় ইনহেলার ও ব্যথার ওষুধ সংগ্রহে রাখুন এবং প্রয়োজনমতো ব্যবহার করুন।
* তৃষ্ণা না পেলেও প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করিয়ে দেহকে হাইড্রেটেড রাখুন।
* অসুবিধা না হলে দুপুরের দিকে হালকা হাঁটা ও যোগব্যায়ামের মতো ব্যায়ামগুলো করাতে পারেন। এতে রক্ত পাম্প করে পুরো দেহ তথা হার্ট সচল থাকে।
* মানসিক উদ্দীপনার জন্য মাইন্ড গেম যেমন সুডোকু, দাবা, লুডু ইত্যাদি খেলতে দিন।
* ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা চিকিৎসকের পরামর্শে ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
যা করবেন না
* বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া নয়।
* অ্যাজমার রোগীদের কার্পেট ব্যবহার ও পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ নয়।
* শীতের সময় বেশি রাত জাগবেন না।
* মদ্যপান, ধূমপান, অতিরিক্ত চা ও কফি পান নয়।