ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় চিকিৎসাধীন দগ্ধদের পাঁচজন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তবে রাজধানীতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখনো ১৫ জন চিকিৎসাধীন। গতকাল রবিবার হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২২ জন দগ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিজ্ঞাপন
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, আইসিইউতে থাকা শাহিনুর খাতুন (৪৫) ২৫ শতাংশ, মারুফা (৪৮) ১৫ শতাংশ ও মনিকা রানী (৪০) ৩০ শতাংশ দগ্ধ। এইচডিইউতে থাকা তামিম হাসান (৮) ৩০ শতাংশ ও তার মা জেসমিন আক্তার (৩৫) ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রয়েছেন বাচ্চু মিয়া (৫১), ইশরাত জাহান (২২), সেলিম রেজা (৪৫), লামিয়া (১৩), মমতাজ (৭০), রাসেল (৩৮), বানকিম মজুমদার (৬০), গোলাম রাব্বি (২০), খাদিজা (২৭) ও বশির (৩৫)। ইনস্টিটিউটের প্রধান ডা. সামান্ত লাল সেন বলেন, তাঁদের সবার শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন লেগে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।