জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে গতকাল জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের জানাজা শেষে তাঁর কফিনে শ্রদ্ধা জানান সহকর্মী, বন্ধু ও স্বজনরা। ছবি : কালের কণ্ঠ
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদকে বিদায় জানিয়েছেন সহকর্মী, বন্ধু ও স্বজনরা। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁর কফিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস কোর্টে আনার পর কালো কাপড়ে ঘেরা একটি অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয়।
সেখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে তাঁর কফিনে শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের ভালোবাসার ফুলে ভরে যায় কফিনের চারপাশ।
বিজ্ঞাপন
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে রিয়াজউদ্দিনের জানাজায় অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, নোয়াব সহসভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খান, সম্পাদক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, রিয়াজউদ্দিন আহমেদের ভাই কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, নিউ এজের প্রকাশক এস এস এম শহিদুল্লাহ খান, শওকত মাহমুদ ও সাইফুল আলম তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
রিয়াজউদ্দিন আহমেদের ছেলে মাশরুর রিয়াজ জানান, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর বাবার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় নরসিংদীর নারান্দীর গ্রামের বাড়িতে। সেখানে জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে হেলিকপ্টারে করে কফিন আবার ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। আসরের পর বারিধারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আরেক দফা জানাজা শেষে বিকেলে বনানীতে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয় রিয়াজউদ্দিন আহমেদকে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘তিনি (রিয়াজউদ্দিন) আমাদের অত্যন্ত প্রিয়জন ছিলেন। আমাদের অভিভাবক ছিলেন। সংকটে পড়লে আমরা তাঁর পরামর্শ নিতাম। ’
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম বলেন, রিয়াজ ভাইয়ের ছিল উদার মনোভাব। উনার সবার সঙ্গে মিলে কাজ করার স্বভাবসুলভ গুণ ছিল। সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নিতে তাঁর মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সাংবাদিকতার যত গুণ আছে, সব ছিল রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মধ্যে। সাংবাদিকদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে তিনি সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করতেন। নতুন প্রজন্ম তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।