কারণ
সাধারণত শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ইউরিক এসিড প্রভৃতির সমন্বয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়। দৈনন্দিন খাবারে এসব উপাদান থাকে, যা কিডনির মাধ্যমে পুরোপুরি বিপাক হয় না। এ ছাড়া বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিড জমা হয়ে অনেক ক্ষেত্রে মেটাবলিক অ্যাবনরমালিটিজের কারণে সিস্টিন এবং অক্সালেট রক্তে জমা হয়। একসময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃস্টালগুলো ক্রমান্বয়ে পাথর তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
বিজ্ঞাপন
ঝুঁকি বেশি যাদের
নারীদের তুলনায় পুরুষের কিডনিতে পাথর হওয়ার হার বেশি। ৪০ বছরের পর থেকে পুরুষের পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যা ৭০ বছর পর্যন্ত বাড়তে থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়স থেকে বাড়তে থাকে। তবে যেকোনো সময়ে যে কারও কিডনি বা মূত্রনালিতে বা ইউরেটারেও পাথর হতে পারে। যাদের একবার পাথর হয়েছে তাদের বারবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উপসর্গ
* পিঠের দুই দিকেই প্রচণ্ড ব্যথা। ছোট পাথর হলে ব্যথা বেশি হয়, যা তলপেটে, কুঁচকির কাছে ছড়িয়ে যায়।
* ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হয়।
* প্রস্রাব করতে না পারা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়।
* প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। প্রস্রাবের রং গোলাপি, লাল অথবা বাদামি, দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে।
* জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা থাকতে পারে।
* বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে ইত্যাদি।
পরীক্ষা
* প্লেইন এক্স-রে কেইউবি
* কিডনি, ইউরেটার ও ইউরেনারি ব্লাডারের আলট্রাসনোগ্রাম
* প্রস্রাব পরীক্ষা
* রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও ইলেকট্রলাইট পরীক্ষা
* অনেক ক্ষেত্রে আইভিইউ ও সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন হয়।
প্রতিরোধে করণীয়
* দৈনিক কমপক্ষে দু-তিন লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করুন। যাদের পাথরের প্রবণতা বেশি তারা দৈনিক তিন-চার লিটার পানি পান করুন।
* নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করুন।
* ইউরিক এসিড, অক্সালেট ও সিস্টিন বেশি থাকলে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার কম খান।
* আমিষজাতীয় খাবার কম খান।
* অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ও লবণ পরিহার করুন।
* ওজন বেশি হলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ইত্যাদি।