মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ভেতর থেকে জঙ্গির উত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জোর করে আমাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেও জঙ্গির উত্থান হতে পারে। তারা টেররিস্টদের দ্বারা ব্যবহৃত হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বক্তৃতা করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী আমরা ঢেলে সাজিয়েছি। তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য তৈরি হয়ে থাকে। সে জন্যই এখন যেকোনো বড় ধরনের আক্রমণ তারা আগে থেকে ডিটেক্ট করতে পারছে। আমাদের দেশের জনগণও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন জঙ্গি সমস্যা নিরসনে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশও এগিয়ে এসেছে এই কাজে। তাদের টেকনোলজি আমাদের দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এ জন্য আমরা সহজভাবে এগুলো করতে পারছি। ’
অতীতের জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের মুম্বাইয়ে হামলা আর ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই রকম বিষয়। একটি গোষ্ঠী জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি। শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপরও হামলা করা হয়। তারা কারা? যারা পরাজিত শক্তি, যারা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল, যাদের আদর্শ পরাজিত হয়েছিল, তারাই ঘাপটি মেরে বসেছিল। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘মুম্বাইয়ে হামলার ঘটনা আমরা ভুলতে পারি না। কেননা অন্য কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। একটি রাষ্ট্র আরেকটি রাষ্ট্রকে টার্গেট করে এটা করেছে। আর সে সময় এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাঙালিরা আমাদের অনুপ্রেরণা ছিল। এটা বলা যায়, ১৯৭১ ও ২০০৮ সালের ঘটনা প্রায় একই রকম। বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই পথচলা আরো দীর্ঘ হবে।