মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম খাগদী গ্রামে সাব্বির খানের মা নাজমা বেগমের আহাজারি। অবৈধভাবে বিদেশযাত্রা করে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে মারা গেছেন সাব্বির। ছবি : কালের কণ্ঠ
অবৈধভাবে বিদেশযাত্রা করে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে মারা গেছেন মাদারীপুরের দুই যুবক। তাঁরা হলেন জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম খাগদী গ্রামের সাব্বির খান এবং বড়াইলবাড়ী গ্রামের সাকিব তালুকদার। তাঁদের পরিবার জানায়, শনিবার রাত ২টার দিকে তাঁরা মৃত্যুসংবাদ পেয়েছেন। লিবিয়া থেকে সাগরপথে রওনা দিয়ে তিউনিশিয়ার কাছে ট্রলারটি ডুবে যায়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সাব্বিরের মা নাজমা বেগম। তাঁর কান্না থামছেই না। সাকিবের পরিবারেও চলছে মাতম। নাজমা বেগম গতকাল সোমবার বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে, তাদের কঠিন বিচার চাই। দালালদের ফাঁসি চাই। ’
সাব্বিরের খালু ওবায়দুর তালুকদার বলেন, ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে দালালচক্রের সদস্যরা।
সাকিব তালুকদারের বাবা হাবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, দালালদের ফোন দিলে এখন আর ফোন ধরে না।
পরিবার সূত্র জানায়, সাব্বির ও সাকিবসহ বেশ কয়েকজন ছয় মাস আগে ইতালি যাওয়ার জন্য দেশ ছাড়েন। গত শনিবার লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য বের হন তাঁরা। তিউনিশিয়ার কাছাকাছি পৌঁছলে ট্রলার ডুবে যায়। পরে দালালরা দুজনের মৃত্যুর সংবাদ দেয়।
স্বজনরা জানায়, সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামের সেকেন মোড়লের ইতালিপ্রবাসী দুই ছেলে আতিবর মোড়ল ও কাশেম মোড়ল এবং পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ী গ্রামের কবির মীরার ইতালিপ্রবাসী দুই ছেলে সবুজ মীরা ও সুমন মীরা ওই দুজনসহ আরো বেশ কয়েকজনকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৯ লাখ করে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু লিবিয়া যাওয়ার পর পরিবারের কাছে আরো টাকা দাবি করা হয়।