দেড় বছর আগে নরসিংদী সদর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর লিপা আক্তার নিপা হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বুধবার গ্রেপ্তার দুজন হলেন সুজন মিয়া ও জহিরুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, ২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল নরসিংদী সদরের মেঘনা নদী থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। অজ্ঞাতনামা হিসেবে মরদেহ দাফনের পর নরসিংদী সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে বিয়ের কথা বলে অন্তঃসত্ত্বা নিপাকে ঘর থেকে নিয়ে যান তাঁর প্রেমিক আমিরুল ইসলাম ওরফে আমিনুল ও তাঁর ছয় ঘনিষ্ঠজন। এরপর মেঘনা নদীর মাঝে নৌকায় নিপাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ভাসিয়ে দেন তাঁরা। আমিরুল বিদেশে পলাতক বলে শোনা যাচ্ছে। বাকি চারজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, এক সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল নিপার। তবে পুরনো প্রেমিক আমিরুলের কারণে নিপার সংসার ভেঙে যায়। আমিরুলের সঙ্গে আবার যোগাযোগ শুরু হয় নিপার। এক পর্যায়ে নিপা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তখন তিনি আমিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। আমিরুল নিপাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলে দেন, সেটি সম্ভব না। পরে পরিবারের বাধার কারণে নিপাকে বিয়ে না করে সহযোগীদের নিয়ে হত্যা করেন আমিরুল।