এফডিসিতে গতকাল ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক কিশোর গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে। আমরা নিশ্চয়ই মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলব না, মাথা ব্যথার ওষুধ দেব। এটার জন্য দরকার জনসচেতনতা। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কোনোভাবে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।
বিজ্ঞাপন
বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’। ‘সোশ্যাল মিডিয়ার আবাধ ব্যবহারের কারণে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধি পাচ্ছে’ শিরোনামে বক্তব্যের পক্ষে সরকারি দল হিসেবে বিতর্কে অংশ নেয় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ। কিশোর গ্যাং বাড়ার আরো অন্য কারণ আছে দাবি করে বিরোধী দল হিসেবে অংশ নেয় সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিচারকদের বিবেচনায় উভয় দলের বিতার্কিকরা সমান নম্বর পাওয়ায় তাদের যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অতিথিরা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আরো কিছু কারণে কিশোর গ্যাং বাড়ছে। এ জন্য সচেতনতা বাড়ানো সবচেয়ে জরুরি। ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে সাত দফা সুপারিশ করা হয়। বক্তব্যে র্যাবের ডিজি বলেন, ‘যেখানেই কিশোর গ্যাং কালচার রয়েছে, সেখানে কিন্তু আমাদের তরুণ-কিশোররা বিপথে পা বাড়াচ্ছে। আমাদের সামাজিক যে স্বাভাবিক আচার-আচরণ, তার বাইরে গিয়ে তারা বিচ্যুত হচ্ছে। বিচ্ছিন্নতাবোধ থেকে বের হতে হবে। দেশে বই পড়া, খেলাধুলা বাড়াতে হবে। ’ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘২৭২ জনের বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা আটক করেছি। এই কিশোর অপরাধীদের এ জন্যই গ্রেপ্তার করতে হয়েছে, যাতে কিশোর গ্যাং কালচার ও কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, জলদস্যু নির্মূলে আমরা অনেক কাজ করছি। জলদস্যু ও জঙ্গিবাদে জড়িতদের সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ’