মূল পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ। বড় কাজের মধ্যে এখন বাকি রয়েছে সড়কপথে কার্পেটিং করা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জুন মাসে চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। তবে এখনো মূল সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু করতে পারেনি রেলপথ মন্ত্রণালয়।
জুনে না হলে পদ্মা সেতুতে ডিসেম্বরে চলবে ট্রেন
- মাওয়া-ভাঙ্গা পথে রেললাইন বসানো শুরু
সজিব ঘোষ পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ফিরে

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সেখানে পানগাঁওয়ে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে সড়ক পরিবহন চালুর সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরুরও চেষ্টা চলছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। যদি কোনো কারণে আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করা না যায়, তবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথ অংশ চালু করতে আমাদের বিকল্প চিন্তা-ভাবনা আছে।
গতকাল কেরানীগঞ্জের পানগাঁও থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন রেলপথমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রেলপথের স্ল্যাব বসার পর কংক্রিটের ঢালাই কাজের সময় সড়কের কম্পনে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। আমরা চাই সড়ক ও রেলপথ একসঙ্গে উদ্বোধন হোক। সে ক্ষেত্রে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রেলপথ দ্রুত বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। লুপ ও সাইডিং ৪২.২২ কিলোমিটার এবং তিন কিলোমিটার ডাবল লাইনসহ মোট ২১৫.২২ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এই পুরো পথে নিচু জায়গায় ২৩.৩৭৭ কিলোমিটার উড়াল (ভায়াডাক্ট) রেলপথ নির্মাণ করা হবে। থাকছে ৬৬টি বড় সেতু। ছোট সেতু, কালভার্ট ও আন্ডারপাস থাকবে ২৪৪টি। নির্মাণ করা হবে একটি হাইওয়ে ওভারপাস এবং ২৯টি লেভেলক্রসিং। একই সঙ্গে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত এই রেলপথে ১৪টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। আর বিদ্যমান ছয়টি স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হবে।
প্রাথমিকভাবে পুরো রেলপথকে তিন ভাগে ভাগ করে কাজ করছে রেল মন্ত্রণালয়, যেখানে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে মাওয়া এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশ দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয় বলছে, মাওয়া-ভাঙ্গা অংশটি পদ্মা সেতুর সড়কপথের সঙ্গেই চালু করা হবে। আর অন্য দুই অংশের কাজ ২০২৩ সাল নাগাদ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত জুলাই পর্যন্ত পুরো রেলপথের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৩৯ শতাংশ, ভাঙ্গা-যশোর অংশের অগ্রগতি ৩১ শতাংশ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬৯ শতাংশ।
সম্পর্কিত খবর

বর্ষায়ও হাতিরঝিলের পানি দূষণ


জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ দেশব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ রবিবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘পিপল হু ফট ফর আস’ ও ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট : স্টোরি অব মুশতাক আহমদ’সহ জুলাইয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ঢাকায় মিরপুর-১০ ও বছিলায় শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এসব আয়োজন করা হবে। গতকাল শনিবার সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, আজ ২০ জুলাই ‘গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিউজিক ভিডিও শেয়ার করা হবে, যার থিম মিউজিক হবে ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’। কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন ‘একটি শহিদ পরিবারের সাক্ষ্য’ ডকুমেন্টারির পার্ট-৬ প্রচার এবং একজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণার ভিডিও শেয়ার করা হবে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে। সব মোবাইল গ্রাহকের কাছে ভিডিওর ইউআরএল পাঠানো হবে।

আদিলুর রহমান খান
ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে মানুষকে ঢাকাকেন্দ্রিক করে ফেলা হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলোর ভালো সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। ফলে মানুষ কাজের জন্য ঢাকা এলেও, কাজ সেরে ফিরে যেতে পারছে না।
গতকাল শনিবার বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ আয়োজিত ‘ঢাকায় নিম্নবিত্তের সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন’ শীর্ষক এক বিশেষ ডিজাইন-গবেষণা উপস্থাপনা ও আলোচনায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর প্লট ও ফ্ল্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বাতিল করেছে সরকার। স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে রাজউক থেকে লটারির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি হলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলাফল হাতে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আদিলুর রহমান খান।
উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যেন বাংলাদেশে কখনোই আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।

শিক্ষাঙ্গন
