খুলনার রূপসা উপজেলায় কীর্তন গানকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু পারিবারিক মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীদের হাতে নারীরাও মারধরের শিকার হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একটি কীর্তনদল শিয়ালী গ্রামে কীর্তন পরিবেশনকালে মসজিদসংলগ্ন রাস্তা অতিক্রম করছিল। এ সময় কয়েকজন মুসল্লি নামাজের সময়ের কথা বলে কীর্তন গান করতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। গতকাল সকালে বিষয়টি পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশকে জানালে তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে। আজ রবিবার এ ঘটনা নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল। এর মধ্যে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রূপসা উপজেলাসংলগ্ন তেরখাদা উপজেলার শেখপুরা, রূপসার ঘাটভোগ এলাকার কয়েক শ ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে শিয়ালী গ্রামের পূর্বপাড়া, শ্মশানঘাট, বামনডাঙ্গা, চাঁদপুর এলাকায় হামলা চালায়। এ সময় সাতটি মন্দির, প্রতিমা ও বাড়িঘর ভাঙচুর, নারী-পুরুষদের মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মারুফ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।
স্থানীয় পূজা কমিটির নেতা শক্তিপদ বসু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি সকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জানিয়েছিলাম। এ ঘটনার সঙ্গে বহিরাগতরা জড়িত। আমরা সুবিচার চাই। ’
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, রূপসায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে ঘটনা নিয়ে বৈঠক হওয়ার আগেই এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।