স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, গবেষণা, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন এবং রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাঁচ নারী পাচ্ছেন ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’। আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় শিশু একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের রয়েছে অপরিসীম অবদান। বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহধর্মিণী ও বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর। বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে সরকার এই পদক প্রবর্তন করেছে। ’
তিনি জানান, এই পদক ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে। মনোনীত প্রত্যেকে পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননা সনদ। প্রতিবছর ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীর জাতীয় অনুষ্ঠানে মনোনীতদের এই পদক দেওয়া হবে। এ ছাড়া এবার সারা দেশে দুই হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা এবং চার হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বেগম মাকসুরা নূর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।