<p>চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক প্রবাসীর স্ত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার মীরপাড়া নুরজাহান ম্যানশনের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রায় ছয় মাস ধরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সত্বাবা (মায়ের দ্বিতীয় স্বামী) ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক আত্মীয় গ্রেপ্তার হয়েছেন।</p> <p>বোয়ালখালীতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী মীরপাড়ার মো. বদিউল আলমের ছেলে মো. কামাল হোসেন (৪২), একই এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮) ও সারোয়াতলীর খিতাপচর জব্বার সওদাগরবাড়ীর আবুল বশরের স্ত্রী রোকিয়া আকতার। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নুরজাহান ম্যানশনে রোকিয়া আকতারের ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী নারী তাঁর অসুস্থ শিশুসন্তানের জন্য গত শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের হাসপাতালের সামনে একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান। তখন তিনি পূর্বপরিচিত রোকিয়াকে ফোন দেন দুই হাজার টাকা ধার নেওয়ার জন্য। রোকিয়া ভুক্তভোগীকে তাঁর বাসায় যেতে বলেন এবং রফিক নামের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে নুরজাহান ম্যানশনে তাঁর বাসায় নিয়ে যান। এ সময় কামাল ও গিয়াস নামের দুজন রোকিয়ার বাসায় আসেন। পরে তাঁরা ভুক্তভোগীকে রোকিয়ার সহায়তায় খালি কক্ষে নিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এতে বাধা দিলে রোকিয়া বেগম তাঁকে চড়-থাপ্পড় মেরে কক্ষ থেকে বের হয়ে বাইরে দরজার সিটকিনি লাগিয়ে দেন। আর কামাল ও গিয়াস তাঁকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির সাইফুদ্দিন এগিয়ে যান। তাঁর সহায়তায় ভুক্তভোগী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে বোয়ালখালী থানায় যান।</p> <p>চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীকে সত্বাবা (৪৪) নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ দিনই বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে প্রকাশ করে কিশোরী।</p> <p>হাজীগঞ্জ উপজেলার মোল্লারডহর গ্রাম থেকে শনিবার রাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার যুবকের নাম আব্দুল রশিদ জসিম (৩৫)। হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান, ঘটনার সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে।</p> <p>[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন কালের কণ্ঠ’র চাঁদপুর, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) ও চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি]</p>