<p>রাজধানীর মোহাম্মদ্পুরের ফার্মেসি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী মনছুর (৩৭) গত ১০ জুন নিখোঁজ হন। পরের দিনই আদাবর থানায় একটি জিডি করেন তাঁর স্ত্রী জায়েদা খাতুন (৩৫)। কিন্তু গতকাল বুধবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি মনছুরের। উল্টো পরিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে তাঁর সন্ধান চেয়ে পোস্ট দিয়ে পড়েছে প্রতারকের খপ্পরে। অপহরণকারী পরিচয় দিয়ে পরিবারটির কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৪৫ হাজার টাকা।</p> <p>এদিকে ছেলে মনছুরকে ফিরে পেতে দিশাহারা মা জাহানারা বেগম (৬০)। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট মনছুর। তাঁর খোঁজে থানা আর সংবাদপত্র অফিসে ঘুরছেন মেজো ভাই এম এ মাসুক।</p> <p>পরিবার সূত্র জানায়, মনছুরের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীবনগরের নবীপুরে। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের পাশে ‘আল-শেফা’ নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন তিনি। এ ছাড়া উত্তর আদাবরে দুটি ফার্মেসি রয়েছে তাঁর। ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর আদাবরের ৩১/গ-এর বাসা থেকে বের হন মনছুর। এরপর রাত ৮টার দিকেও স্ত্রী জায়েদা খাতুনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তখন তিনি জানান, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে আছেন। এর পর থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।</p> <p>আদাবর থানার এসআই জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শংকর বালা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মনছুরের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় প্রযুক্তির মাধ্যমেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা টাকা নিয়ে গেছে সেই নম্বরগুলোও বন্ধ। চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করছি শিগগিরই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাবে।’</p> <p>গতকাল নিখোঁজের ভাই এম এ মাসুক বলেন, ‘একটা নম্বর থেকে রিং দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে সোমবার রাতে আমরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা এবং মঙ্গলবার সকালে ১০ হাজার টাকা পাঠাই। এর পর থেকে ওই নম্বর বন্ধ।’</p> <p>মাসুক বলেন, ‘আমি ফেসবুকের কয়েকটা গ্রুপে নিখোঁজের পোস্ট করেছিলাম। হতে পারে কোনো প্রতারক সেটা দেখে এমনটা করেছে। টাকা গেছে, তার পরও ভাইয়ের তো সন্ধান পাচ্ছি না। তার সঙ্গে কারো কোনো ধরনের শত্রুতাও ছিল না। কারা তাকে অপহরণ করল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার মা অসুস্থ! ভাইয়ের জন্য কান্নাকাটি করছে।’</p>