<p>নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও জাপান। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় একযোগে কাজ করবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাক্ষাতের পর গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।</p> <p>পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাতে মো. শাহরিয়ার আলম ও ইতো নাওকি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁরা ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরকে স্মরণ করেন। প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদযাপনে সম্মত হয়।</p> <p>প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কভিড মহামারি সবার জন্য এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। কভিড চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাপান সরকারের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। </p> <p>জাপানি রাষ্ট্রদূত মহামারি চলাকালেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ব্যাপক প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তিনি কভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।</p> <p>বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানান, ১১ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যদি নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ না পায়, তবে এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাপানকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য জাপানের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।</p>