পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার হাজি মুসা ম্যানশনে রাসায়নিক গুদামে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আশিকুজ্জামান খান আশিক মারা গেছেন। গত বুধবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আশিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে তাঁর স্বজন মো. ফারুক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, শেষ পর্যন্ত আশিককে আর বাঁচানো গেল না।
তাঁর স্ত্রীর অবস্থাও সংকটাপন্ন। জানা গেছে, ছয় দিন ধরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন আশিক। আগুনে দগ্ধ তাঁর নববধূ ইসরাত জাহান মুনা এখনো আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।
গত শুক্রবার ভোররাতের দিকে মুসা ম্যানশনের নিচতলায় রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন ওপরের আবাসিক ফ্ল্যাটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় মুনার ছোট বোন সুমাইয়া আক্তারসহ চারজন ঘটনাস্থলে মারা যান। কমবেশি দগ্ধ হন অন্তত ২৩ জন। এর মধ্যে ২১ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনো মুনাসহ তিনজন আইসিইউতে আছেন। এ ছাড়া মুনার বাবা, ভাইসহ ১১ জন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মুনা ও আশিকের বিয়ে হয় মাত্র দেড় মাস আগে। আশিক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ছিলেন।