ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

তরমুজে খুশি চাষি তবে দাম বেশি

  • বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ জোয়ারের প্রভাবে জোগান কম
রোকন মাহমুদ
রোকন মাহমুদ
শেয়ার
তরমুজে খুশি চাষি তবে দাম বেশি

রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজারে একটি তরমুজের দোকানে গত শুক্রবার দুপুরে গিয়ে পাঁচজন ক্রেতা দেখা যায়। মিনিট পাঁচেক দেখেশুনে দরদাম করে কিনলেন মাত্র একজন। কারণ বিক্রেতা দাম কমাবেন না আর ক্রেতা বলছেন দাম অনেক বেশি। দাম বেশি, এটা বাজার ঘুরেও দেখা গেল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর এই সময়ে আট কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সেই একই ওজনের তরমুজ শুক্রবার মালিবাগসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ৩০ টাকা হিসাবে বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকায়। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতা জানে আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, আট কেজি ওজনের তরমুজ কেনা হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।

এর সঙ্গে যোগ হবে খরচ। একটা তরমুজে ২০-৩০ টাকা লাভ না হলে চলবে কিভাবে? ক্রেতা আলমগীর বলেন, এই ভরা মৌসুমেও বিক্রেতা এই আকারের তরমুজের দাম চাইছেন ২২০ টাকা। অথচ এটার দাম দেড় শ টাকার ওপরে হওয়ার কথা নয়।

রাজধানীর প্রতিটি বাজারেই ১০ থেকে ১৫টি তরমুজের দোকান দেখা গেল।

এ ছাড়া রাস্তার পাশে, গলির ভেতরের দোকান এবং বিভিন্ন মোড়ে তরমুজ বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। প্রত্যেক বিক্রেতার কাছেই দুই শর ওপরে তরমুজ রয়েছে। তার পরও দাম চড়া। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতেও প্রতি কেজি তরমুজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এখন মাত্র ১০ টাকা কমে ভরা মৌসুমেও বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।

এই অবস্থায় নিম্নবিত্ত তো বটেই, অনেক মধ্যবিত্তও তরমুজ কেনা ছেড়ে দিয়েছে। মুগদা বাজারে সকালে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ প্রায় সাড়ে সাত কেজি ওজনের একটি তরমুজের দরদাম করছিলেন। বিক্রেতা ২১৫ টাকার নিচে নামছেনই না। শেষে ভেবেচিন্তে না কিনেই ফিরে গেলেন আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘যে টাকায় তরমুজ কিনব, সেই টাকায় প্রায় চার কেজি চাল পাব। চাল কেনাটা জরুরি।’

মুগদা বাজারের বিক্রেতা শাহেব আলী বলেন, ঢাকায় তরমুজ আসে মূলত পটুয়াখালীসহ কয়েকটি অঞ্চল থেকে। ওই সব এলাকায় হঠাৎ জোয়ারের পানিতে তরমুজক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তরমুজের জোগান কম। তবে বাজারে তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ বছর তরমুজের ফলনও ভালো হয়েছে বলে মৌসুমের শুরুতে খবর পাওয়া যায়। সে হিসাবে কৃষক তরমুজ চাষে লাভবান হয়েছেন। গত বছরের চেয়ে এবার তরমুজের উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করছেন চাষি ও কৃষিবিদরা।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সাজির হাওলা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হাওলাদার তিন একর জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করেছেন। তাঁর ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ক্ষেত বিক্রি করেছেন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই কৃষকের মুনাফা হয়েছে এক লাখ টাকা। জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তিন বছর ধরে তরমুজ চাষ করি। ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার বেশি লাভ হয় না, কিন্তু ফলন ভালো হয়। এ বছর লাভ ভালো হয়েছে, তবে ব্যবস্থাপনার ঘাটতি না থাকলে লাভ আরো বেশি হতো।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত বছর তরমুজ উৎপাদন হয়েছিল দুই লাখ ৫৪ হাজার ৮১৪ মেট্রিক টন। এ সময় ৩০ হাজার একর জমিতে তরমুজ চাষ করেন কৃষকরা। তবে গত বছর সাধারণ ছুটি থাকায় তরমুজের বিক্রি ছিল খুবই কম। এর আগের বছর উৎপাদন ছিল এক লাখ ৮৭ হাজার টন।

বাউফল উপজেলার চরশৌলা এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন টিক্কা ৪২ লাখ টাকা ব্যয় করে ৮০ একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। নিজের মূলধন আট লাখ টাকা। ১৫ লাখ টাকা সুদি মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। এ ছাড়া দোকান থেকে বাকিতে নিয়েছেন সার ও কীটনাশক। মহাজনকে লাখে ৩০ হাজার টাকা সুদ দিতে হবে। প্রায় অর্ধকোটি টাকা লাভ হতো। কোটি টাকার ফলনও হয়েছিল। কিন্তু সব ভেসে গেছে পূর্ণিমার জোয়ারে। এখন ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা বিক্রি নামবে তাঁর। সর্বস্ব শেষ হয়ে গেছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফরহাদ। তিনি বলেন, তরমুজ চাষ লাভজনক। স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা তরমুজ আবাদ করেন, কিন্তু সরকারের কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় সব স্বপ্ন জোয়ারে ভাসিয়ে নেয়। পটুয়াখালীর শতাধিক কৃষক পূর্ণিমার জোয়ারে সর্বস্ব হারিয়েছেন।

পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন,  চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে। ফলনও সন্তোষজনক, লাভও বেশ ভালো হবে।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন কালের কণ্ঠ’র পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল এবং রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি এম সোহেল।]

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
চার দফা দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

তাই সরকারকে অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।

দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

মন্তব্য
জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ।

মন্তব্য
শহীদ মুগ্ধর বাবা

জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে মুগ্ধর শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে হারিয়ে ফেলেছি। যে শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, সে কখনো জাতির পিতা হতে পারে না। তার কন্যা শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারতন্ত্রের দানবকন্যা হয়ে উঠেছিল।
এডাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মুগ্ধর নামে একটি খাবার পানির কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন। উৎপাদিত পানি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আয়োজিত এ প্রতীকী ম্যারাথন ছিল এবারের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের অন্যতম অংশ। গতকাল সকাল ৭টায় এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ম্যারাথন শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
এই অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমরা অভ্যুত্থানের সেই মহান আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ