বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের দেখানো পথে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে। এই পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা অসামান্য।
গতকাল রবিবার শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শামসুজ্জামান খান এ কথা বলেন। তিনি জানান, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্বের আগেই ১৯৪৭ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইত্তেহাদ পত্রিকায় মতামত লিখে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার পক্ষে তাঁর লড়াই শুরু করেন।
‘ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য-স্মারক তালিকায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ : একটি সামাজিক ও যোগাযোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক একুশে বক্তৃতা ২০২১ প্রদান করেন অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
একুশে বক্তা অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, একাত্তরের ৭ই মার্চ প্রদত্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ তেজস্বী বক্তৃতার এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। একটি ভাষণ একটি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে কী দারুণভাবে উৎসাহিত করেছিল, তা পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা ও স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ কণ্ঠস্বর সংবলিত এই ভাষণের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও সময়োপযোগিতা বিশ্লেষণ গবেষকদের জন্য এক স্বর্ণখনি।
কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার : অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হয়। এই পদকে ভূষিত হয়েছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যেকোনো শাখায় সার্বিক অবদানের জন্য তাঁকে এই দ্বিবার্ষিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আহমদ রফিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা, সম্মাননা স্মারক ও সম্মাননাপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য