নেত্রকোনার মদনে বড় বোনকে বিয়ে করতে না পেরে ছোট বোনকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে একই উপজেলার কদমশ্রী তমিজহাটী এলাকায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক তরুণের নামে মামলা করা হয়েছে। আর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে। এই অভিযোগে এক মেম্বারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, ফতেপুর ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগটি উঠেছে জাকিম মিয়ার (২২) বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর বাবার ভাষ্য, ‘জাকিম আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা রাজি হইনি। এরপর জাকিম আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে আমি সেচ দিতে জমিতে যাই। ওই সময় অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় জাকিম ও তার সহযোগীরা। আমি ফেরার সময় বাড়ির সামনের জমিতে অচেতন অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখি।’
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘আইনের আশ্রয় নিলে আমাদের গ্রামছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে কিছু করতে পারছি না।’
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি জানান, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ধরঞ্জি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাহাবুল ইসলাম এবং জয়পুরহাট সদর থানার বানিয়াপাড়া গ্রামের দুদু মিয়া।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বাসিন্দা। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পাঁচবিবির ধরঞ্জি ইউনিয়নের নন্দইল গ্রামের জাহিদ হাসানের (৩৫) সম্পর্ক হয়। এরপর জাহিদ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেন। কিন্তু একপর্যায়ে জাহিদ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তখন জাহিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ওই নারী ইউপি সদস্য সাহাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সাহাবুল তাঁকে জাহিদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত সোমবার পাঁচবিবি আসতে বলেন। আসার পর সাহাবুল তাঁকে প্রথমে নিয়ে যান মির্জাপুর গ্রামে দুদুর শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে রাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন সাহাবুল ও দুদু।
মন্তব্য