পেশাদার ছিনতাইকারীচক্রের হাতে খুন হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শাহবাগ থানার সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
গতকাল সোমবার বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হামিদুল ইসলামকে পেশাদার ছিনতাইকারীরা হত্যা করেছে। দুই ছিনতাইকারীকে আটকের পর এই তথ্য পাওয়া গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কিছু আছে তদন্তে গুরুত্ব দিয়ে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে গোলচক্করে খুন হন হামিদুল ইসলাম। দুর্বৃত্তরা ছুরি মেরে খুন করে তাঁকে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাসমান ছিনতাইকারীরা রাতে এলাকাজুড়ে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়ায়। এদের বেশির ভাগ মাদকাসক্ত। রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি কম থাকায় ছিনতাইকারীরা চলাচলকারী মানুষের কাছ থেকে টাকাসহ মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয়। বাধা পেলে ছুরি মেরে হত্যা করে। সেভাবেই হত্যা করা হয় হামিদুল ইসলামকে। এর আগেও ওই এলাকায় ছিনতাইকারীর হাতে অনেক পথচারী আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে শীতে রাতে পরিস্থিতি অনেক জটিল হয়ে গেছে। ছিনতাইকারীরা এর মধ্যেই অপরাধ কর্ম সংঘটিত করছে। অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধী ধরার চেষ্টা চলছে।
এদিকে নিহতের পরিবার মনে করছে, হামিদুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের কেউ এ ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে নাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। গতকাল এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে।
মন্তব্য