<p>চট্টগ্রাম বন্দরের দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার অডিট আপত্তি পাওয়া গেছে। বন্দরটিতে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় দুই হাজার। অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি ও শূন্যপদগুলো দ্রুত পূরণের তাগিদ দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ উত্থাপিত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শেষে এই তাগিদ দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কমিটির সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এবং এস এম শাহজাদাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট চার হাজার ৯৩২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার দুই হাজার ১৬৫টি অডিট আপত্তি হয়েছে। আপত্তি আসা এসব অডিটের মধ্যে দুই হাজার আটটি নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে টাকার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৭১ কোটি পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার। বাকি অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিতে মোট অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা এক হাজার ৯৫৯টি। সেখানে মোট আট হাজার ৭৪২টি পদের বিপরীতে ছয় হাজার ৭৮৩ জন কর্মরত আছেন। এসব শূন্যপদের মধ্যে ৩৫৬টিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে।</p> <p>কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলী নদীর ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন অপসারণে জরুরি ভিত্তিতে গ্র্যাব ড্রেজার কিনে কার্যক্রম শুরুর সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।</p>