<p>শেরপুরের মাধবপুর এলাকার রফিকুর রহমান (৬৩) কিডনি ও শ্বাসকষ্ট জটিলতায় গত ২৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁর করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) শনাক্ত হলে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গতকাল বুধবার ভোর ৬টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর চার ঘণ্টা পর মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের (৫২)। চিকিৎসকদের ধারণা, আম্বিয়া খাতুনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।</p> <p>মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে শেরপুর শহরে। রফিকুর রহমান শেরপুরের সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত পণ্ডিত ফসিহুর রহমানের ছেলে, শেরপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমানের বড় ভাই এবং শহরের অভিজাত প্রসাধন সামগ্রীর দোকান ‘বর্ণালী’র প্রতিষ্ঠাতা। রফিকুর-আম্বিয়া দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।</p> <p>শ্বাসকষ্টের জটিলতায় গত ৪ ডিসেম্বর আম্বিয়া খাতুনকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা পাঠানো হয়। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ তাঁকে জানানো না হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে তাঁকে জেলা হাসপাতাল থেকে সেখানে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠানো হয়। কিছুুক্ষণ পর অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয় তাঁর।</p> <p>বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর লাশ বাড়ির আঙিনায় আনা হলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। দুই সন্তান, পরিবারের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষীদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সদালাপী, সজ্জন, সংস্কৃতিবান, মিশুক রফিকুর-আম্বিয়া দম্পতির মৃত্যুতে উপস্থিত সবার কণ্ঠেই আফসোস ঝরতে থাকে। তাঁদের মৃত্যুতে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন শোক প্রকাশ করেছে।</p>