সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ধর্ষণ মামলা তুলে না নেওয়ায় নির্যাতিতা নারীর ভাইকে পুলিশ পরিচয়ে রাস্তা থেকে অপহরণের পর নির্যাতন চালিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে গেছে আসামিরা ও তাদের লোকজন। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার ওই যুবক। উপজেলার সোয়ালিয়া ব্রিজ নামক স্থানে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা ওই যুবককে হাত, পা ও মুখ বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, একটি জুতাসহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত কিছু জিনিস। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক (৩০) জানান, ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর বোনের করা ধর্ষণ মামলায় তিনি একজন সাক্ষী। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামিরা ও তাদের স্বজনরা তাঁকেসহ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তিনি অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনে ভ্যানযোগে যাদবপুর মোড়ে নামেন। এ সময় তাঁকে মাস্ক পরা তিন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে তাঁর গতিরোধ করে। পরে তাঁকে মুখ চেপে ধরে পাশের আজিবরের মিল ঘরের পেছনে বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে আসে আসামি গোলাম মোস্তফা, আবু বক্কর ছিদ্দিক ও সুকুমার মণ্ডল। গোলামের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে কাপড় বের করে তাঁর মুখ, হাত ও পা বেঁধে ফেলে তাঁকে নির্যাতন চালায় তারা।
মন্তব্য