<p>লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে গত বৃহস্পতিবার রাতে আবু ইউনুছ মো. সাহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনাটি নিছকই গুজবের ওপর ভিত্তি করে সংঘটিত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ধর্মের অবমাননা করেননি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল সরেজমিন তদন্তে নেমে এমন মন্তব্য করেছে।</p> <p>দুই সদস্যের প্রতিনিধিদলটি গতকাল রবিবার সকাল থেকে সরেজমিন তদন্ত শুরু করে। তদন্তদলের নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-ফায়জুল কবীর শাহীন। কমিটির অপর সদস্য হলেন কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তাঁদের সঙ্গে থেকে কাজ করেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পি এম রাহসিন কবির। এ সময় লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>কমিশনের তদন্তদলটি গতকাল সকালে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ, মহাসড়কে জুয়েলের লাশ পোড়ানোর স্থান ও মসজিদ পরিদর্শন করে। পরে বুড়িমারী ডাকবাংলোতে ওই মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পৃথকভাবে সাক্ষ্য নেয় কমিটি।</p> <p>বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আল-ফায়জুল কবীর শাহীন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে যে জুয়েল পবিত্র কোরআন অবমাননা করেননি। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। এটি ছিল নিছক একটি গুজব।’</p>