মিয়ানমার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর। ওই দেশটিতে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে উসকানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানানো হয়। মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গতকাল জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায়, রাখাইন নৃগোষ্ঠীসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো নির্বিচারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে আগামী নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কিন্তু দেশটির নাগরিক সমাজ এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্য প্রাপ্তির সুযোগের ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিধি-নিষেধের শিকার হচ্ছে। এমনিক নির্বাচনী প্রচারণায় যে ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তা মিয়ানমারে বৈষম্য, শত্রুতা ও সহিংসতায় উসকানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
রাভিনা শামদাসানি ভোটের আগে নীতিগত বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধী মত বা সমালোচনার ব্যাপারে সরকার ও সামরিক নেতাদের অসহিষ্ণুতায়ও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানায়, রাখাইন ও শিন রাজ্যে সংঘাত বন্ধ, ইন্টারনেটসেবা চালু এবং বন্দি ছাত্রদের মুক্তির দাবি তোলায় গত দুই মাসে কয়েক ডজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত চারজনকে ছয় বছরেরও বেশি মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাভিনা বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নির্বাচনের আগের পরিবেশের জন্য অন্যতম শর্ত।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চার কারণে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের নামে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে আমরা মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানাই।’
মন্তব্য