নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম হোসেনকে (২৯) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকেসহ আনসার সদস্য হত্যা মামলার পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি দেশি পাইপগান ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশের জেরে এই জনপদে দেলোয়ার বাহিনী, সাদ্দাম বাহিনীসহ একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয় থাকার বিষয় দেশবাসীর সামনে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জোরালো হয়।
দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জন্ম দেওয়া গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার হোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলুকে গতকাল মঙ্গলবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ধর্ষণ মামলায় পাঁচ দিন, অস্ত্র মামলায় এক দিন ও বিস্ফোরক মামলায় এক দিন—মোট সাত দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল তাঁকে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম ও আনসার সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাবিবুরের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার। তিনি জানান, গ্রেপ্তার উপজেলার কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের সায়েদুল হকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন এবং তুলাচারা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে দুটি দেশি পাইপগান ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান সিকদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে কোটরা মহব্বতপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, অস্ত্র আইনসহ পাঁচটি মামলার আসামি সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি দেশি পাইপগান ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য