‘আমার মাইয়াডার তো কোনো অফরাদ আছিল না। নিজের মাইয়ার মতো বাড়িতে রাখব কইয়া শাকিল নেতায় নিয়া গেছিল। মাইয়াডা যাতে বালামুতো দুইডা ভাত খাইয়া, ইট্টু বালাভাবে থাকতে পারে এই নাইগ্গা শাকিল নেতার বাসায় কামে দিছিলাম। এইডা তো আমগরে দোষ না। কিন্তু শাকিল নেতার বউ ঝুমুর মাইয়াডারে নির্যাতন কইরা মাইরা ফালাইল। আমি আমার মাইয়া হত্যার বিচার চাই।’ চোখের পানি মুছতে মুছতে এভাবেই গৃহকর্ত্রীর বর্বর নির্যাতনে নিহত মেয়ে সাদিয়া পারভীন ফেলি (১০) হত্যার বিচার দাবি করেন হতদরিদ্র রিকশাচালক বাবা সাইফুল ইসলাম। দীর্ঘ ২৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নির্যাতিত শিশু গৃহকর্মী সাদিয়া পারভীন ফেলির মৃত্যু ঘটে। গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। প্রায় এক বছর আগে শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিলের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল সাদিয়া পারভীন ফেলি। বিভিন্ন অজুহাতে শিশুটিকে অকথ্য নির্যাতন করতেন শাকিলের স্ত্রী রুমানা জামান ঝুমুর।
মন্তব্য