‘মত্স্যাসন’ নামেই মালুম এই আসনের ধরন। মাছ জলের মধ্যে যে ভঙ্গিতে ভেসে বেড়ায়, আসনটি অনেকটা তেমন দেখতে বলেই এমন নামকরণ। ভাসমান মাছের এই ভঙ্গিমা শরীর ও মন দুই-ই সুস্থ রাখে
পদ্ধতি
- ম্যাটের ওপর সোজা হয়ে দুই পা একসঙ্গে রেখে টান টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত থাকুক পাশে। চোখ বুজে আরাম করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এটি শুরুর ধাপ।
- এবার পিঠ বাঁকিয়ে ধনুকের মতো করতে হবে। এর জন্য হাতের কনুই, নিতম্ব এবং মাথা ভর দিয়ে পিঠ তুলুন। বুক যেন ওপরের দিকে উঠে আসে। মাথার মাঝখান মাটিতে রেখে সাপোর্ট দিন। পা সোজা রাখতে হবে।
- হাতে ভর দিয়ে কাঁধ মাটি থেকে ওপরে তুলতে হবে। এবার হাত পাশে রাখুন। কাঁধ, পিঠ তুলে রাখতে হবে। এই অবস্থানে অনেকটা মাছের আকৃতির দেখতে লাগবে। এটিই হলো চূড়ান্ত ভঙ্গি।
- গভীরভাবে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। এই অবস্থানে মাথার পেছন দিকে ভার অনুভব করবেন। তিন-চারবার গভীর শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে সাবধানতার সঙ্গে শুরুর অবস্থানে ফিরে আসুন। কোনো বাড়তি চাপ নেবেন না। তিন-চারবার অভ্যাস করতে হবে।
সতর্কতা
হার্টের অসুখ, ঘাড় ও পিঠের, সর্বোপরি মেরুদণ্ডের সমস্যা থাকলে এই আসন অভ্যাস করা মানা। গর্ভবতী মেয়েরাও এই আসন করবেন না।
উপকারিতা
মাছের আকৃতির এই আসনের ভঙ্গিমায় কাঁধ ও বুকের পাঁজর সুন্দরভাবে প্রসারিত হয়। পিঠের ঠিক মাঝখানের স্টিফ হয়ে থাকা পেশি কিছুটা নরম হয়। প্রসঙ্গত, স্টিফনেস থেকে ব্যথার সমস্যা আসে। তাই এই আসনটি পিঠের ব্যথা কমাতে উপযোগী। এই আসনে গভীর শ্বাস নেওয়া হয় বলে ব্রংকিয়াল অ্যাজমা বা হাঁপানির রোগীদের জন্য আসনটি অত্যন্ত উপযোগী।
মন্তব্য