ফেনীর আবেদা বেগম (বাঁয়ে)। সাতক্ষীরায় খুঁজে পাওয়া আবেদা বেগম।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের একটি বাজার থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বাগেরহাটের জিরোধারাবাজি এলাকার দুই ভাই দাবি করছেন, আবেদা বেগম (৫২) নামের ওই নারী তাঁদের মা, যিনি ১৫ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার এক ব্যক্তির দাবি, ওই নারী তাঁর ফুফু হন, যিনি দুই বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর কোনো সন্তান নেই। এ অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষাই সবচেয়ে ভালো সমাধান বলে মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
গত শুক্রবার বাগেরহাটের জিরোধারাবাজি এলাকার ঘরখোল গ্রামের আল-আমিন ও তাঁর ভাই আলাউদ্দিন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকায় বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, পাশের চাঁদনীমুখো বাজারে দুই বছর ধরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী থাকেন। পরে দুই ভাই দাবি করেন, ওই নারীই তাঁদের মা। তাঁরা আবেদাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি যান। ওই নারী নিজের নাম ছাড়া আর কিছুই বলতে পারেন না।
এ ঘটনায় কালের কণ্ঠে ‘বিয়ের দাওয়াতে এসে ১৫ বছর পর মায়ের সন্ধান’ শিরোনামে ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়। এই খবর দেখে কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধিকে ফোন করেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ মটুয়া এলাকার বাহারুল্যা পাটোয়ারীর ছেলে ইয়াছিন আরাফাত অভি। তিনি জানান, আবেদা বেগম তাঁর ফুফু হন। আবেদার বাবার নাম রাজা মিয়া পাটোয়ারী। তাঁদের আদিনিবাস ফুলগাজী উপজেলার উত্তর তারকুজায়। তিনি ‘আবেদা পাগলি’ হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর তিনি নিখোঁজ হন।
মন্তব্য