<p>ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে দুই তরুণীকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দুবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতের এই ঘটনায় পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন এক তরুণীর বাবা।</p> <p>এদিকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে এর ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাটোরের গুরুদাসপুরে এক গৃহবধূকে স্বামীর সহযোগিতায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পুলিশ গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করেছে শিশু ধর্ষণ (১২ আগস্ট) মামলার আসামি ছানোয়ার হোসেনকে (৩৫)। ছানোয়ার সলঙ্গার পুস্তিগাছা গ্রামের বাসিন্দা।</p> <p>পীরগঞ্জে ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার সেনুয়া গ্রামের আলতাফুর রহমান ভোলার ছেলে অটো চার্জার চালক নয়ন (২১), নয়নের বন্ধু ফরিদ, হিরন ও সেলিম এবং ভোমরাদহ ইউনিয়নের চিলাপাড়া গ্রামে চার্জারচালক সবুজ। নয়ন ও সবুজ গ্রেপ্তার হয়েছেন।</p> <p>মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে গত সোমবার বিকেলে পীরগঞ্জ শহরে নয়নের সঙ্গে দেখা করতে আসেন পাশের রাণীশংকৈল উপজেলার দুই তরুণী। সেখানে নয়ন বন্ধু ফরিদ, হিরন ও সেলিমের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন। পরে এক তরুণী তাঁর মোবাইল ফোনের ব্যাটারি কিনতে চান। নয়ন উপজেলার লোহাগাড়া বাজারে তাঁর পরিচিত দোকানে কম দামে ব্যাটারি পাওয়া যায় বলে সেখানে বন্ধুসহ তাঁদের নিয়ে যান। সেখানে ব্যাটারির দাম বেশি হওয়ায় নয়ন ও তাঁর বন্ধুরা জনৈক সবুজের অটোতে করে তরুণীদের আবার পীরগঞ্জ শহরে আনেন। সেখানে রনি টেলিকমে ব্যাটারি কিনতে তাঁদের সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরে রাতে নয়ন তাঁদের বাড়িতে না পাঠিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সবুজের অটোতে উঠিয়ে সেনুয়ার দিকে রওনা হন। অটোতে হিরন, সেলিম, ফরিদও ছিলেন। অটোতেই তরুণীদের জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নয়নের বাড়িতে না নিয়ে সবুজের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের ধর্ষণ করেন নয়ন, সবুজ, হিরন, সেলিম ও ফরিদ। পরে তাঁদের সবুজের আত্মীয়ের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের পাশের জনৈক নজিবুলের আখক্ষেতে নিয়ে আবার ওই পাঁচজনে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁদের ভোমরাদহে জনৈক মসলিমার বাড়িতে নেওয়া হলেও তিনি তাঁদের ঢুকতে দেননি। রাত ৩টার দিকে পাশের রেললাইনে নিয়ে যাওয়ার পর এক ব্যক্তির হাতের টর্চের আলো দেখে অভিযুক্তরা তরুণীদের রেখে পালিয়ে যান। ভোরে লোহাগাড়া বাজারে এসে অটোযোগে বাড়ি ফেরেন তরুণীরা।</p> <p>কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম সিয়ামুর রহমান খোকন (১৯)। তিনি উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের পাথরডুবি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর। এর পর থেকে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে সিয়াম মেয়েটিকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় সম্প্রতি ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন সিয়াম। গত মঙ্গলবার সিয়াম ও তাঁর দুই সহযোগীর নামে থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন মেয়েটির বাবা। সিয়ামের দুই সহযোগী হলেন গ্রামের শওকত আলীর ছেলে নাজমুল হাসান রনি (২০) এবং গেন্দা খলিফার ছেলে বাবলু মিয়া।</p> <p>স্বামীর সহযোগিতায় ধর্ষণ!</p> <p>নাটোরের গুরুদাসপুরে গত মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকেই (গৃহবধূর স্বামী ও দেবের) এদিন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গৃহবধূ স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। গৃহবধূ অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সহায়তায় দেবর তাঁকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। এতে তিনি রাজি হননি। সবশেষ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির বারান্দায় তিনি মাছ কাটছিলেন। হঠাৎ সেখানে দেবর আসেন। তখন স্বামী বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে তাঁকে শয়নঘরে নিয়ে হাত চেপে ধরেন আর দেবর ধর্ষণ করেন।</p> <p>[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধিরা]</p>