বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বয়স্ক সাক্ষরতার অগ্রগতি ঘটলেও পুরুষের চেয়ে নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। শহরে বসবাস করা ৬০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে ৫৮ শতাংশের সাক্ষরজ্ঞান রয়েছে। গ্রামে বসবাসকারী পুরুষদের মধ্যে এই হার ৪০ শতাংশ। কিন্তু একই বয়সসীমার নারীদের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামে এই হার যথাক্রমে ২৪ ও ১২ শতাংশ।
বয়স্ক শিক্ষা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউনেসকোর চতুর্থ বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। তাতে বেশ কয়েকটি সূচকে অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। নতুন প্রজন্মের নারী-পুরুষের মধ্যে সাক্ষরতার বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। শহরে বসবাসকারী ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০ শতাংশ। গ্রামে এই হার ৭৪ শতাংশ। অন্যদিকে একই বয়সসীমায় মেয়েদের মধ্যে এই হার শহর ও গ্রামে যথাক্রমে ৮৩ ও ৮১ শতাংশ। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মের ক্ষেত্রে মেয়েদের সাক্ষরতার হার ছেলেদের তুলনায় বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দেশে ৫ শতাংশেরও কম (১৫ বছর বা তার চেয়ে বয়সী) মানুষ শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠী শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ, শরণার্থী, অভিবাসী এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য রয়েছে। গ্রামে বয়স্ক শিক্ষা জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গণশিক্ষা কার্যক্রম ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইউনেসকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, নেপাল, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শিক্ষা কার্যক্রমে বয়স্কদের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে হবে বলে মনে করে ইউনেসকো।
মন্তব্য