রবিবার । ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ১০ রবিউস সানি ১৪৪১
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা—এই তিন বিভাগে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একাংশের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পরিষদের একাংশের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
দুপুরের দিকে এই ঘোষণা আসার পর পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রি শুরু হয়। তবে ধর্মঘট স্থগিতের আগেই ওই তিন বিভাগের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানির অভাবে বিপাকে পড়ে শত শত গাড়ি।
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ১৫ দাবিতে গত রবিবার থেকে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। গতকাল ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করেন সাজ্জাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোগান্তি চাই না। বিপিসি আশ্বাস দিয়েছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। এ কারণে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি স্থগিত রাখব।’
এদিকে কালের কণ্ঠ’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, জ্বালানি তেলের অভাবে ভোমরা স্থলবন্দরে হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুর পর্যন্ত শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী তেল ডিপো থেকে ডিজেলসহ কোনো ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন হয়নি। উপজেলার সব কটি পেট্রল পাম্প প্রায় ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ যানবাহন জ্বালানি সংকটে পড়ে। বাধ্য হয়ে বাস ও ট্রাক মালিকরা সীমিতসংখ্যক যান রাস্তায় নামান।
রংপুর অফিস জানায়, ধর্মঘট স্থগিতের পর থেকে রংপুরের ৮৫টি পাম্পসহ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন শুরু হয়।
মন্তব্য