মো. রুবেল মুন্সি হত্যা মামলার আসামি মো. ইয়ামীন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবার হাতকড়া খুলে কৌশলে থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলামের সামনে দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। এদিকে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে ওই থানায় দায়িত্ব পালনকারী ছয় পুলিশ সদস্যকে গতকাল শনিবার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশের মিডিয়া সেন্টার ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বরিশালগামী কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের ক্যান্টিনের সামনে খুন হন রুবেল। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপপরিদর্শক আবু সিদ্দিক। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়ামীনকে আটক করেন উপপরিদর্শক আবু সিদ্দিক। পরে ইয়ামীনকে থানায় এনে পরিদর্শক অপারেশনের কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন উপপরিদর্শক আবু সিদ্দিক ও মো. মিজান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইয়ামীনকে ওই কক্ষে রেখে আবু সিদ্দিক ও মো. মিজান বেরিয়ে যান। এ সময় দুই কর্মকর্তার গাফিলতির সুযোগের সদ্ব্যবহার করে পরের দিন শুক্রবার হাতকড়া খুলে ইয়ামীন কৌশলে ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলামের সামনে দিয়ে পালিয়ে যান।
এদিকে পুলিশি হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশের মিডিয়া সেন্টার ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শামীম। তিনি জানান, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে উপপরিদর্শক আবু সিদ্দিক, মো. মিজান, জহিরুল ইসলাম, কনস্টেবল লতিফ, হাসেম ও অপারেটর মো. রফিককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চের (ডিএসবি) পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ সরদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্তব্য